কলাপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ও চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনের পর বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমিরমারা গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী মহিবুল্লাহ ও কবির গাজী সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে সশস্ত্র হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজন অবস্থায় কবির গাজী, হেলাল গাজী, বাবুল গাজী, মুসা মীরা, কাদের হাওলদার ও রাহিমা বেগমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পরই কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে।
একই দিন দুপুর ৩টার দিকে চাকামইয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আনিপাড়া গ্রামে বিজয়ী সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ভোটারদের বাড়ি দেখা করতে গেলে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত হয় পাঁচজন। এ সময় তাদের রক্ষা করতে অন্যরা এগিয়ে এলে স্থানীয় মকবুল দফাদারের নির্দেশে তাঁদের অস্ত্রসহ ধাওয়া করা হয় বলে আহতরা দাবি করেছেন।
বিজয়ী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি দেখা করতে গেলে মকবুল দফাদারের ছেলে রাকিবুল ও ফেরদৌসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁর ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় বাচ্চু হাওলাদার ও মোস্তাক মাওলানার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।