ভূমি অফিসে আগুন দেওয়ার অর্থ কী : শিল্পমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ শনিবার বিকেলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি : এনটিভি

মূল্যবান দলিল-দস্তাবেজ পুড়িয়ে মানুষে মানুষে হানাহানি সৃষ্টির জন্যই ভূমি কার্যালয়ে ‘জাতীয় দুশমনরা’ আগুন দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় তিনি এদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। 

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য। এদিন তিনি ওই বিদ্যালয়ের একটি নবনির্মিত ভবনেরও উদ্বোধন করেন। 

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বিগত দিনে আমরা আন্দোলন করেছি, হরতাল করেছি, অবরোধ করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। কিন্তু আজকে কোনো একজন নেত্রী একটি এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে অবরোধের ঘোষণা দেন। আর রাস্তায় আমরা দেখি, বাসের মধ্যে ঘুমন্ত নারী-শিশুদের পেট্রলবোমা মেরে হত্যা করা হয়। এই হচ্ছে তাদের আন্দোলন। আজকে মানুষ হত্যা তাদের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার তারা নতুন করে মানবতাবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। আজকে তারা জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাদের আন্দোলনে আজকে সারা দেশের মানুষ সাড়া দিচ্ছে না বলেই প্রতিহিংসামূলকভাবে মানুষের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং জাতীয় দুশমন যারা, জাতীয়ভাবে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি করছে এবং আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করা, প্রতিরোধ করা, ধরিয়ে দেওয়ার নৈতিক দায়িত্ব আপনাদের ওপর রইল।’ 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘ভূমি অফিসে আগুন দেওয়ার অর্থটা কী? আগুন দেওয়ার অর্থ আপনারা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে না পারেন। তার কারণ, ভূমি অফিসে এই এলাকার সমস্ত দলিলপত্র। এখন দলিলপত্র যদি নষ্ট হয়ে যায়, যে কেউ এসে বলতে পারে, আমি মালিক। এই মালিকানা দাবি করে সারা বছর মানুষে মানুষে হানাহানি হবে, খুনোখুনি হবে, রক্তারক্তি হবে। সুতরাং জাতীয় দুশমনদের আপনারা চিহ্নিত করবেন, ধরিয়ে দেবেন। তারা কারো আপন নয়। আপনার যদি ভাই হয়, তাহলে মনে করবেন সে আপনার দুশমন।’

শংকরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জামাল খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুস লস্কর, নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র ফারুক হোসেন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবদুর রশিদ। 

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৩০টি ইভেন্টে বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিল্পমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে মন্ত্রী একই এলাকায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নবনির্মিত ‘আমির হোসেন আমু সড়ক’-এর উদ্বোধন করেন।