খুলনায় নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালিত

Looks like you've blocked notifications!
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল ৮টায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। ছবি : এনটিভি

মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। প্রত্যুষে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভসূচনা করা হয়।

নগরীর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রংবেরঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

সকাল ৮টায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। পরে সেখানে বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে নগরীর সিনেমা হলগুলো ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আলমগীর হোসেন, মকবুল হোসেন মিন্টু, শ্যামল সিংহ রায়, সেক্টর কমান্ডার সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।

হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুকেন্দ্রগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।  জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর কালেক্টর মসজিদসহ নগরীর মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত স্থানীয় নৌবাহিনীর জাহাজ খুলনাস্থ বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়।

বেলা সাড়ে ৩টায় পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান এবং ৪টায় খুলনা জিলা স্কুলে প্রশাসন একাদশ বনাম কেসিসি একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। উপজেলাগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়।