পাবনায় যুবলীগ নেতাকে গুলি, ধর্মঘটের হুমকি

Looks like you've blocked notifications!
পাবনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি শরীফ। ছবি : এনটিভি

পাবনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শহরের প্রভাবশালী যুবনেতা হাজি শরীফ (৪০) প্রতিপক্ষের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরের নিজ মহল্লা পৈলানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে হাজী শরীফের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনার বাস, সিএনজি, অটোবাইক মালিক ও শ্রমিকরা। পরে তারা পাবনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি পেশ করে। তারা হাজী শরীফের ওপর হামলাকারীদের কাল বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তারের সময় বেঁধে দেয়। অন্যথায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হাসান জানান, পাবনা শহরের পৈলানপুর মোড়ে সিএনজি ও অটোবাইকের স্ট্যান্ড বসানো নিয়ে স্থানীয় যুবলীগকর্মী আমিনুর রহমান বাদলের পক্ষের সঙ্গে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি শরীফ পক্ষের দ্বন্দ্ব ও কোন্দল চলছিল। এ নিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে গোবিন্দা এলাকার আমিনুর রহমান বাদল, আকরাম, রুবেল, জব্বার ও হাসানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল যুবক হাজি শরীফের ওপর গুলি বর্ষণ করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাঁর ডান হাতের হাড় ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় গোলাগুলি ও ধাওয়া- পাল্টাধাওয়ায় আরো ১০ জন আহত হয়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শরীফকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়।

এদিকে হাজি শরীফের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনার বাস, সিএনজি, অটোবাইক মালিক ও শ্রমিকরা। পরে তারা পাবনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি পেশ করে। তারা হাজী শরীফের ওপর হামলাকারীদের বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তারের সময় বেঁধে দেয়। অন্যথায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন পাবনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কালাম আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান হামিদুল, পাবনা জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্বাস আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা আলমগীর কবীর প্রমুখ।

পাবনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কালাম আহমেদ জানান, মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণেই সন্ত্রাসীরা হাজি শরীফকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এ ব্যাপারে গোবিন্দা এলাকার আমিনুর রহমান বাদল, আকরাম, রুবেল, জব্বার ও হাসানসহ অজ্ঞাত ১৬-১৭ জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।