বাস কেড়ে নিল ইউএনওর প্রাণ

Looks like you've blocked notifications!
ত্রিশালে নিজ কর্মস্থলে মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের এই ছবি এখন কেবল স্মৃতি। ছবিটি তাঁর সরকারি ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের চাপায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।

রাশেদুল ইসলামের (৩৭) লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত চেইনম্যান সোহাগকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, আজ বিকেলে নুরুর দোকান এলাকায় চেইনম্যান সোহাগকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মাপতে গিয়েছিলেন ইউএনও রাশেদুল ইসলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁরা যখন সড়কে ওঠেন তখন দ্রুতগামী একটি লোকাল বাস তাঁদের চাপা দেয়। এতে ইউএনও রাশেদুল ও চেইনম্যান সোহাগ আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে চুরখাই উইনাড় পাড় এলাকায় কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিবিএমসি) নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নুরুন্নবী সিদ্দিকী জানান, রাশেদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত অন্যজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওসি জানান, ময়মনসিংহ-ত্রিশাল পথে চলাচলকারী ‘পদ্মা গেইটলক’ নামের বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে পালিয়ে যাওয়ায় চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ইউএনওর নিহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহউদ্দিন, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সরকারি কর্মকর্তারা।

ময়মনসিংহ জেলা তথ্য বাতায়নে বলা হয়েছে, নিহত ইউএনও রাশেদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলা শহরে। তিনি ২৭তম বিএসএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। ত্রিশালের ইউএনও হওয়ার আগে তাঁর কর্মস্থল ছিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়। তিনি ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

তবে ইউএনওর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লোহাগাছা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন মাস্টারের ছেলে ইউএনও রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি আবদুল জলিলের মেয়ে আকিফা বিনতে জলিলের বিয়ে হয়। তাঁদের কোনো সন্তান নেই।