রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীর তরবারি চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ীতে রক্ষিত দুটি তরবারি চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রশাসনিক বিভাগের উপপরিচালক গাজী ওয়াসিউল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কুঠিবাড়ীতে পৌঁছান।
তদন্তদলের সদস্যরা এসেই কুঠিবাড়ীর ভেতরের দোতলার ঘরের ওই আলমারিটি পরিদর্শন করেন যেখান থেকে তরবারি দুটি খোয়া গেছে। পরে দীর্ঘ সময় ধরে তারা কুঠিবাড়ীর তত্ত্বাবধায়কসহ ভেতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন।
সেখান থেকে বের হয়ে বিকেলে গাজী ওয়াসিউল হক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুরক্ষিত কক্ষ থেকে এবং নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে কীভাবে এ রকম একটি চুরির ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার দিন সেখানে সিসি ক্যামেরা কেন বন্ধ ছিল? এখানে দায়িত্বরতদের কে কোন অবস্থায় ছিল এর সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তদলের প্রধান বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে খোয়া যাওয়া তরবারি উদ্ধার করা হবে। তদন্ত শেষে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
বন্ধ থাকা অবস্থায় গত বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যে কোনো সময় কুঠিবাড়ীর দ্বিতীয় তলার ২০১ নম্বর কক্ষের আলমারিতে থাকা পাঁচটি তরবারির মধ্যে দুটি তরবারি খোয়া যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় এ চুরির ঘটনায় কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন কুঠিবাড়ীর তত্ত্বাবধায়ক মুখলেচুর রহমান।