নীলফামারীতে নৌকা প্রতীক বিক্রির অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে দলবদলকারী আরেকজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূলের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমার নাম না পাঠিয়ে অর্থের বিনিময়ে অন্যজনের নাম পাঠিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে নৌকা প্রতীক দেওয়া না হলেও নিজেকে আমি আওয়ামী লীগের প্রকৃত প্রার্থী হিসেবে মনে করি।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তৃণমূলে আইয়ুব আলী ৬৫টির মধ্যে ৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বিবেচিত হন। সে অনুযায়ী ইউনিয়ন কমিটি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের জন্য আইয়ুব আলীকে সুপারিশ করলেও উপজেলা কমিটি অর্থের বিনিময়ে দলবদলকারী নাজিম উদ্দিন আলম সবুজের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাই আমরা দলীয় প্রার্থীকে বয়কট করলাম।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দিন আলম সবুজ ২০০৪ সালে নীলফামারী-৪ আসনের বিএনপিদলীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন সরকার ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনুর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। তার পর ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বর্তমান জাপাদলীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন। পরে আবারও সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর তালিকা জেলায় প্রেরণ করেছি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে পার্লামেন্টারিয়ান বোর্ড যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, সে-ই চূড়ান্ত প্রার্থী।’ জাকির হোসেন বাবুল উৎকোচ নিয়ে প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।