ঝিনাইদহে আ. লীগের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, একজন নিহত

Looks like you've blocked notifications!
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবিতে আহত এক ব্যক্তি শুয়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়। ছবি : এনটিভি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে পদ্মাকর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত ছায়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আকামী (৫৮)।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, নৌকা প্রতীক ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের তিনটি গুলি ছোড়ে।

পদ্মাকর ইউপির সদস্য তোরাপ আলী জানান, সকালে গ্রামের তোতার সমর্থক রেজাউল ইসলামকে মারধর করে প্রতিপক্ষ সাহাবুদ্দিনের লোকজন। এরপর গ্রামের পূর্বপাড়ায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সাহাবুদ্দিনের সমর্থক আকামী নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বিকাশ কুমারের দাবি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

সংঘর্ষের জের ধরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে বলে জানান ওসি হাসান হাফিজুর রহমান।

এদিকে ছায়াইল গ্রামে নিহতের ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। সংঘর্ষে সাত-আটটি বাড়ি,  একটি দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। গ্রামে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। র‌্যাবের একটি দল টহল দিচ্ছে। আতঙ্কে গ্রামের বেশির ভাগ নারী-পুরুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই ঘরের মালামাল, গরু-ছাগল সরিয়ে নিচ্ছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিহত আকামীরের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে গ্রামে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

নিহতের স্ত্রী আলেয়া বেগম অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভাঙচুর ও লুটপাট ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।