আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত

ঝিনাইদহে আ.লীগ, বিএনপির নেতাসহ ৭৩ জনের নামে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কর্মী আকামীর। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কর্মী নিহতের ঘটনায় ১৩৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী আকামীরের ভাই আকবর আলী এই মামলা করেন। 

মামলায় পদ্মাকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইমাজুল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ দুই দলের ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করবেন ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান। 

ওসি বলেন, এরই মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়ন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল পৌনে ৭টার দিকে  ছয়াইল গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বিকাশ কুমার ও দলীয় প্রার্থী নিজামুল গনি লিটুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিকাশ গ্রুপের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী আকামীর নিহত হন। আহত হন আরো ২০ জন। ঘটনার পরে গ্রামের কমপক্ষে ১০টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুরসহ লুট করা হয়। শতাধিক পরিবারের সদস্য হামলা-মামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে আশ্রয় নেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  

হাট গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়ারুল জানান, গ্রামে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক এলাকা হাটগোপালপুর বাজারে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। 

তবে এ অব্স্থায় আগামী ৭ মে ইউনিয়নটির নির্বাচন হবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়েছেন সদর উপজেলার বিএনপির সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পাননু ও সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলীম।