বৈসাবির রং লেগেছে খাগড়াছড়িতে

Looks like you've blocked notifications!

পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের বর্ষবরণের উৎসব ‘বৈসাবি’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে খাগড়াছড়ির নদী, ছড়া, খালে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ত্রিপুরারা বৈসুক, মারমারা সাংগ্রাই আর চাকমারা বিজু নামে এ উৎসব পালন করে। তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের আদ্যাক্ষর নিয়ে এ উৎসবের নাম বৈসাবি।

সমতল থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে পাহাড়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করা হয়। চৈত্রের শেষ দুদিন আর বৈশাখের প্রথম দিন নিয়ে পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো ও ফুল পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা সূচনা করে। খুব ভোরে পূর্ব আকাশে সূর্যের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ার আগেই চাকমা ও ত্রিপুরা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিদায় বছরের দুঃখ-কষ্ট, ক্লেশ-গ্লানিকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। জেলা শহরের অদূরে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা প্রার্থনা করে।

এ বছর বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সর্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি মধুপুর বাজার থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। এ ছাড়া খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, মারমা ঐক্য পরিষদ, মারমা উন্নয়ন সংসদ, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাসহ সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

কাল সারা দিন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে তরুণ-তরুণীরা বয়স্কদের সালাম করে আশীর্বাদ নেন। আজ বুধবার চাকমাদের ঘরে ঘরে রান্না করা হবে সুস্বাদু পাচন। বিভিন্ন ধরনের সবজি মিশিয়ে এ পাচন রান্না করা হয়। অতিথিদের এ পাচন দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। ঘরে ঘরে চলছে এখন পিঠা-পায়েশ তৈরির নানা আয়োজন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা ও শতরূপা চাকমা জানান, শুধু বর্ষবরণের জন্য এ আয়োজন নয়। নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ প্রয়াস।