ইউপি নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা

কাশিয়ানীতে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বেলতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা চেয়ার। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এ সময় নির্বাচনী ক্যাম্প ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বেলতলায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানী ইউনিয়নের পোনা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী খোকনের প্রচার মাইক ভাঙচুর ও প্রস্তাবক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস মোল্লাকে লাঞ্ছিত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমানের সমর্থকরা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেলতলা এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে গভীর রাতে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। এ সময় দুই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প, কয়েকটি দোকান ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ২১টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার জের ধরে আজ শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই পক্ষের লোকজন মহড়া দেয়। এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে কয়েকটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্দ আলী খোকন বলেন, ‘কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে একপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁর ছত্রছায়ায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী প্রচার চালাতে দিচ্ছেন না। নির্বাচনের আগেই আমরা তাঁর অপসারণ চাই।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয় হবে জেনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো সব কাজ করে যাব।’