পেট্রলবোমা কেড়ে নিল আরো দুজনকে

Looks like you've blocked notifications!

চলমান হরতাল-অবরোধের সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমা কেড়ে নিল আরো দুজনের প্রাণ। এঁরা হলেন মাগুরার ট্রাকশ্রমিক ইয়াদুল মোল্লা ও সাতক্ষীরার খোরশেদ আলম। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে তাঁদের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সেন্টু বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, ইয়াদুল মোল্লা শরীরের ৯০ ভাগই পুড়ে গিয়েছিল। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার মালিকগ্রাম পূর্বপাড়ার জহুর মোল্লার ছেলে।
 
২১ মার্চ রাত ৮টার দিকে মাগুরার সদর উপজেলার মঘীর ঢাল এলাকায় একটি ট্রাকে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে গুরুতর দগ্ধ হন নয় শ্রমিক। এ ঘটনায় পরদিন ২২ মার্চ উপজেলার মালিকগ্রাম পূর্বপাড়ার শ্রমিক রওশন আলী (৪২), শাকিল হোসেন মোল্লা (২৫) ও আবদুল মতিনের (২২) মৃত্যু হয়।
 
ইয়াদুলকে নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়াল। এ ছাড়া একই ঘটনায় ইয়াদুলের দুলাভাই ইমরান মোল্লা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
 
অপরদিকে, দুপুর সোয়া ১টায় মারা গেছেন চাঁদপুরের ফেরিঘাটে ট্রাকে পেট্রলবোমায় আহত খোরশেদ আলম (৩০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ডারকি গ্রামের সুলতান বিশ্বাসের ছেলে। গত ১৮ মার্চ তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।
 
ওই দিন খুলনা থেকে ট্রাকভর্তি মালামাল নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন খোরশেদ আলম। চাঁদপুর সদর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় দুর্বৃত্তরা  ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর মারা যান। এ সময় খোরশেদসহ তিনজন আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে বিভিন্ন সময়ে আরো দুজন মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন মারা গেলেন।