যারা ধর্ম নিয়ে কুতর্ক করে তারাই ফাসাদ সৃষ্টি করে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যারা মুক্তমনের চর্চা নয় বরং ধর্ম নিয়ে কুতর্ক করে তারাই ফাসাদ সৃষ্টি করে। তারাই ধর্মের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। তারা দেশের গণতন্ত্রের শত্রু, ধর্মের শত্রু এবং মানবতার শত্রু। পরমত সহিষ্ণুতার জায়গা গণতন্ত্রে আছে কিন্তু উগ্রবাদীদের জায়গা গণতন্ত্রে নেই। উগ্রবাদ আর পরমত কী সেই জায়গাটা চিন্তা করে দেখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভূঁইয়া শফিকুল ইসলামের লেখা গদ্যগ্রন্থ ‘প্রবাসে প্রদোষে’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অন্য প্রকাশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,’মুক্তবুদ্ধি হচ্ছে যুক্তি। আর যুক্তির শেষে সংশয় শুরু হয়। তখন প্রশ্ন জাগে যে আপনি সংশয়ের পক্ষে যাবেন না যুক্তির পক্ষে যাবেন। সংশয়ের পক্ষে গেলে হেরে গেলেন আর যদি যুক্তির পক্ষে যান তাহলে বিজয়ী হবেন। তাই তো প্রত্যেক লেখক যুক্তিবাদী হন। আর ধৈর্যশীল হয়ে সত্য, মানবতা ও দেশপ্রেমের পথ খুঁজেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা হোঁচট খেলেও যদি শিল্প সাহিত্য জাগ্রত থাকে তবে দেশ এগিয়ে যাবে। সুশাসন, সমৃদ্ধি আর শান্তি এ তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠায় আমার যুদ্ধ চলছে। আর এ যুদ্ধের অন্যতম সহযোদ্ধা হচ্ছেন লেখক সাহিত্যিকরা। যারা এ তিনটির পথে নেই তারা অশান্তির পথে আছে। তাই আমাদের যুদ্ধটাও অশান্তির লোকদের বিরুদ্ধে।’
প্রকাশনা উৎসবে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান,কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
‘প্রবাসে প্রদোষে’ গ্রন্থটিতে লেখক কয়েকজন ব্যতিক্রমী মানুষের সঙ্গে প্রবাস জীবনের স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন। নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তার বিচিত্র আচরণ এ গ্রন্থের কাহিনীপুঞ্জে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। রয়েছে লেখকের মৌলবাদের স্বরূপ বোঝার কথা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রত্যাশী মানুষের অসহায় অবস্থা, ধর্মব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে তাদের ক্রীড়নকে পরিণত হওয়ার প্রসঙ্গও।