মেয়র মান্নানের সঙ্গে কথোপকথন, কাউন্সিলর আটক

Looks like you've blocked notifications!

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথোপকথনের কারণে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম নুরুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ও দুজন আওয়ামী লীগ নেতার জিম্মায়  নুরুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।   
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) মিঠু শেখের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার ফাইসন্স রোডের নিজ বাড়ির সংলগ্ন তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে তাঁকে গাড়িতে তুলে গাজীপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে ডিবির এসআই মিঠু শেখ জানান, নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সঙ্গে নাশকতার ঘটনার আগের দুদিন ১৪ ও ১৫ এপ্রিল কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর মোবাইল ফোনে ১০-১২ বার কথা হয়। ওই কাউন্সিলর কেন ও কী বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং নাশকতার ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত কি না- তা জানতে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর নুরু। এ সময় নুরু জানান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় মান্নানের সমর্থক যারা ওই নির্বাচনের ভোটার তাঁদের ভোট পেতে সহযোগিতার জন্য মান্নানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। 

এসআই মিঠু শেখ জানান, নাশকতার বিষয়ে কোনো তথ্য না পাওয়ায়  ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ও দুজন আওয়ামী লীগ নেতার জিম্মায় বুধবার বেলা ২টার দিকে কাউন্সিলর নুরুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি নেতা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন নাশকতার পৃথক তিনটি ঘটনায় মান্নানকে প্রধান আসামি করে জয়দেবপুর, টঙ্গী ও কালিয়াকৈর থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।