দোয়ারাবাজারে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গুলি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় আহতদের নাম জানা যায়নি।
আজ শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর, সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর এবং পাণ্ডারগাঁও ইউনিয়নের গোপীনগর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর, সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর, পাণ্ডারগাঁও ইউনিয়নের গোপীনগর কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ব্যালট বাক্স নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা বাধা দিলে তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ও তাপস রঞ্জন পুলিশ নিয়ে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে। এ সময় ব্যালট বাক্স ছিনতাইকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের হামলায় এক পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার রাত ১০টায় জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল স্থানীয়রা। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাচনে পর স্থানীয়ভাবে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সাতটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন শেষে ব্যালট বাক্স নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে পুলিশ ও নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তদের ওপর হামলা করে স্থানীয় কিছু লোকজন। ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।’