মাদারীপুরে ধর্মঘট ডেকে ক্লিনিকে ব্যস্ত চিকিৎসকরা

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদ শনিবার শহরের একটি ক্লিনিকের সামনে সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন। ছবি : এনটিভি

মাদারীপুরে চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে ধর্মঘট ডেকেছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ধর্মঘট ডাকলেও বিভিন্ন ক্লিনিকে দিব্যি রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে লাঞ্ছনার ঘটনায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন চিকিৎসকরা। এর পরই সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসকরা চলে যান বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখতে। এ সময় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা শহরের একটি ক্লিনিকে রোগী দেখা শুরু করেন।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির ভিডিওচিত্র ধারণ এবং ছবি তোলা শুরু করলে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদ সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই চিকিৎসকসহ কয়েকজন চিকিৎসকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় ওই ক্লিনিকে। তারা চিকিৎসকদের কাছে জানতে চায়, বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন না কেন? তাঁরা তো জনগণের করের টাকায় সরকারি হাসপাতাল থেকে বেতন নেন।

এ ছাড়া শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ডা. বাসেত, ডা. রিফাত, ডা. আবু সফর, ডা. একরামসহ বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসাসেবা দিতে দেখা গেছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সালমাসহ একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চলে যেতে বলেছেন।

গত শুক্রবার ভোরে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইনুল ইসলাম রোগীকে ব্যবস্থাপত্র না দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বার বার চিকিৎসককে ডাকলেও চিকিৎসক আসেননি বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। সকালে ওই রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এই ঘটনার জের ধরে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা।