মুক্তিযোদ্ধাকে চড়, আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
মহান স্বাধীনতা দিবসে বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) আবদুল মান্নান (৬০) অভিযোগ করেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক জমাদ্দার আজ সকালে তালতলী বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।
আবদুল মান্নান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শুরুর আগে তালতলী বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে তিনি আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে সকালের নাশতা করছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক জমাদ্দারও সেখানে নাশতা করছিলেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে উসকানিমূলক কথা বলতে থাকেন ফজলুল হক। তিনি সব মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া আখ্যায়িত করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে তাঁর ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাঁর দাড়ি ধরে টেনে তাঁকে চড়-থাপড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
তবে ফজলুল হক জমাদ্দার দাবি করেন, ‘তাঁর (আবদুল মান্নান) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। তাঁকে কোনোরূপ লাঞ্ছিত করা হয়নি। ঘটনার সময় সেখানে আরো অনেকেই উপিস্থিত ছিলেন। এখন তিনি যেসব বলে বেড়াচ্ছেন তা মিথ্যা এবং বানোয়াট।’
তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম আলী হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দাড়ি ধরে চড়-থাপড় মারার মতো নিষ্ঠুর অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনিসহ আরো বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, এ অপমান সব মুক্তিযোদ্ধার।
ঘটনার পরপরই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বিষয়টি তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বরগুনার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে জানায়। ফজলুল হকের শাস্তি দাবি করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ আবদুর রশীদ।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন।