‘ধানের শীষ বিক্রি করা হয়েছে’
পঞ্চগড় সদর উপজেলার গরিণাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে ধানের শীষ প্রতীক বিক্রি করা হয়েছে। মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির একজনকে।
আজ শনিবার দুপুরে গরিণাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মণ্ডলের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এ সময় তারা ধানের শীষ প্রতীক বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে গরিণাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আয়ুব আলী আনছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মকসেদুর রহমান, ছাত্রদল সভাপতি আবু হানিফ, কৃষক দল নেতা মনোয়ার হোসেন দীপুসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গরিণাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘আমরা প্রতিকূল পরিবেশে দীর্ঘ সাত বছর ধরে নানাভাবে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে সভাপতি আয়ুব আলী আনছারী এবং উপজেলা কৃষক দল নেতা মনোয়ার হোসেন দীপুর নাম চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের প্রস্তাব করেছি। এদের যে কাউকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিলে আমরা জয়লাভ করতাম।’
রফিকুল ইসলাম মণ্ডল আরো বলেন, ‘কিন্তু জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকারের সহকারী একান্ত সচিব এম এ মজিদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন নেতা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জাতীয় পার্টির আলতামাশ হোসাইন লেলিন নামে একজনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন।’
গরিণাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইয়ুব আলী আনছারী জানান, ‘তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা ধানের শীষ প্রতীক বর্জন করলাম। প্রতীক বিক্রি করা হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নেতাকর্মীরা কাজ করবে না। আমরা এ মনোনয়নের পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।’
কৃষক দল নেতা মনোয়ার হোসেন দীপু জানান, ‘নেতাকর্মীদের চাপে বাধ্য হয়ে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হচ্ছে। আমরা দুজন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে আলতামাশ হোসাইন লেলিন বলেন, ‘আমি গরিণাবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। আমার বাবা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।’
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম এ মজিদ জানান, ‘টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। টাকা নিয়ে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি কেউ প্রমাণ দিতে পারলে গলায় জুতার মালা পরব।’