অভিযোগ ছাড়াই থানায় নিয়ে পুলিশের মারধর

Looks like you've blocked notifications!
কোনো অভিযোগ ছাড়াই শফিকুল ইসলাম রঞ্জুকে থানায় নিয়ে মারধর করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঘিওর থানায় পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রঞ্জু। নির্যাতনে অচেতন হয়ে পড়লে পুলিশই তাঁকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

আজ মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন শফিকুল ইসলাম রঞ্জু। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার এই নির্যাতন করেন বলে রঞ্জু পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

এই অভিযোগের কাগজপত্র নিয়েই প্রেসক্লাবে হাজির হন ওই কৃষক লীগের নেতা। সাংবাদিকদের কাছে শরীরের জখম দেখিয়ে নির্যাতনের ঘটনা জানিয়েছেন তিনি। রঞ্জু পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার চরমাস্তল গ্রামের বাসিন্দা। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারিও করেন তিনি। 

শফিকুল ইসলাম রঞ্জু সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘিওরে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে বেগুননার্চি গ্রামে পরিচিত হারু মেম্বারকে এসআই স্বপন কুমার সরকার ও অন্য সদস্যরা টানাহেঁচড়া করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে দেখে এগিয়ে যান তিনি। হারু কোনো মামলার আসামি নন বলে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জেনে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন রঞ্জু ও স্থানীয়রা। কিন্তু এসআই স্বপন কুমার সরকার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হারু ও রঞ্জুসহ আটজনকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। থানার কম্পিউটার কক্ষে রঞ্জুকে আটকে রেখে বেদম পিটুনি দেন স্বপন।

এতে অচেতন হয়ে পড়লে পুলিশ তাঁকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আর ওই দিন রাতেই হারু মেম্বারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরের দিন রঞ্জুকে আদালতে চালান দেওয়া হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই দিনই জামিনে ছাড়া পান তিনি। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারু ও রঞ্জুকে পুলিশ ধরে আনে, ওই মামলায় তাঁদের নামই নেই। 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসআই স্বপন কুমার সরকার রঞ্জুকে আটক করার কথা স্বীকার করলেও নির্যাতন করার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, রঞ্জুর লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।