১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে রূপালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পলাতক

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের বিক্ষোভ। ছবি : এনটিভি

নোয়্খালীতে রূপালী ব্যাংকের এক শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

প্রবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঞ্চয় হিসেবে রক্ষিত চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সোনাইমুড়ির আমিশাপাড়া রূপালী ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর শত শত  গ্রাহক রূপালী ব্যাংকের ওই শাখার সামনে বিক্ষোভ করেছে।

আমিশাপাড়া রূপালী ব্যাংকের শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর যোগ দেন বেলায়েত হোসেন। এরপর থেকে আমেরিকা, সৌদি আরব, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের বিপরীতে নতুন চেক বই ইস্যু করেন। এসব চেক বইয়ের পাতায় গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকেন। এই শাখায় তিন বছর অবস্থানকালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিক উল্লার ১৯ লাখ, মমিন উল্লার ছয় লাখ, ব্যবসায়ী তাজু মিয়ার আট লাখ, সৌদি আরবের রফিক উল্লাহর সাত লাখ টাকাসহ অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলাসহ  প্রায় ১৫ কোটি টাকা নগদ উত্তোলন করেন।

বিষয়টি জানাজানি হতে শুরু করলে শাখা বদল করে অন্য শাখায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এজিএম পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়।

প্রাথমিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। গ্রাহকের মৌখিক হিসাব মতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার হিসাবের গরমিল পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মোশারেফ হোসেন জানান, এ শাখায় নতুন হওয়ায় বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না তিনি। তবে গ্রাহকদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। দোষী হলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।