চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক কারাগারে

চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষক আহাদ আলীকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এ বি এম মাহমুদুল হক এ আদেশ দেন। একই দিন যৌন হয়রানির শিকার স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
এদিকে, ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের এক সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে বলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতির দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষক আহাদ আলীকে দুপুরে সদর থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে শিক্ষক আহাদ আলীর থানা কাউন্সিলপাড়ার বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। এরপর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ আহাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা লোক মোর্চা স্কুলছাত্রীকে আইনগত সহায়তা দিচ্ছে। জেলা লোক মোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে সংগঠনটি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) পিয়ার উদ্দিন জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।