খালেদা জিয়ার কার্যালয় এখনো ‘বিচ্ছিন্ন’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে এখন পর্যন্ত ডিশ, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন আছে। একই সঙ্গে সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন দলটির গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
এনটিভি অনলাইনকে দিদার বলেন, ‘চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাধারণ লোকজন তো নয়ই, সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সকালে একজন শুভাকাঙ্ক্ষী এসেছিলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।’ চিকিৎসক যেতে পারছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করেছেন।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর গত শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে বিদ্যুৎ ফেরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪২ মিনিটের দিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) কর্মীরা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। পরের দিন শনিবার বিভিন্ন সময়ে ওই কার্যালয়ের ডিশ লাইন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক সমাবেশে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অবরুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়াকে না খেয়ে মরতে হবে বলে হুমকি দেন।
তার আগের দিন বৃহস্পতিবার হরতাল-অবরোধে কোনো এসএসসি পরীক্ষার্থী পেট্রলবোমা হামলার শিকার হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয় পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।