বগুড়ায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তি জেএমবি নেতা

Looks like you've blocked notifications!
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি : এনটিভি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রাইসুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামে জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে পুলিশের একটি বিশেষ দল জেলার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়ার একটি বাড়ি থেকে মাছুমা (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর মাছুমা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তি তাঁর স্বামী। তাঁর নাম রাইসুল ইসলাম। 

রাইসুলের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার জোরবাড়ীয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন। তিনি চট্টগ্রামের লেংটা ফকির হত্যা ও
এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে টাকা ছিনতাইয়ের মূল আসামি।

আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় জানতে তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুসন্ধান অব্যাহত ছিল। একপর্যায়ে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ শাজাহানপুর উপজেলায় নিহত রাইসুলের শ্বশুরবাড়ির সন্ধান পায়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি বিশেষ দল শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়ায় আবদুল বাকীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিহত জঙ্গির স্ত্রী মাছুমাকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহত জঙ্গি তাঁর স্বামী বলে স্বীকার করেন মাছুমা।

গত ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জওয়ানপুর গ্রামে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়। পরে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ২০টি গ্রেনেড, চারটি পিস্তল, ৪০টি গুলি ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।