‘সৌদিতে কর্মী পাঠানো যাবে ১৫-২০ হাজার টাকায়’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/02/photo-1422889086.jpg)
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভিসা জোগাড় ও বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সৌদি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হবে। এটি বন্ধে সৌদি সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়ই বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি পাঠানো যাবে।
আজ সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি সৌদি আরব সফরকালে দেশটির সরকারের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়। এ সময় সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকদের যাতায়াত ভাড়া ও চিকিৎসা খরচ বহনে সম্মত হয়েছে।
মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কত খরচ হবে তা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে ঠিক করে দেবে সরকার। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য ফি নির্ধারিত করতে সরকার কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে সরকার নির্ধারিত ফিতেই এজেন্সিগুলোকে কাজ করতে হবে।
ইউএনবির খবরে বলা হয়, দীর্ঘ সাত বছর নিষেধাজ্ঞার পর গতকাল রোববার বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সৌদি আরবের শ্রমবাজার খুলে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জনশক্তি পাঠানোর বিষয়টি পুরোটাই সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের নথিভুক্ত জনশক্তি সৌদিতে পাঠাবে। এর মধ্যেই প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সরকারের নথিভুক্ত হয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর রিক্রুটিং পক্রিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। অর্ধপ্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা অভিজ্ঞ জনশক্তি পুনরায় সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের আবার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
শ্রমিকদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৩০ থেকে ৩৫টি ভ্রাম্যমাণ দল এ জন্য কাজ করছে। এ বছর নভেম্বরের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।