মানিকগঞ্জে ২ ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

পঞ্চম দফায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ও  জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আর ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদকে এই ঘটনা তদন্ত করে আগামী রোববার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এই স্থগিতাদেশের চিঠি মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।

তবে, কে বা কারা কিংবা কী অভিযোগ করায় এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি এবং কর্মকর্তাদের জানানো হয়নি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, পঞ্চম দফায় তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য গত ২২ এপ্রিল থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়।

এতে গড়পাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আফসার উদ্দিন সরকার, বিএনপি মনোনীত মো. সহিম উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র মো. ওসমান গনি, মো. সোহরাব উদ্দিন ও নুরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

আর জাগীর ইউনিয়নে একই পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. জাকির হোসেন, বিএনপি মনোনীত মো. সেলিম হোসেন ও স্বতন্ত্র মো. আইয়ুব আলী।

কিন্তু শেষদিনে গত ৩ মে গড়পাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আফসার উদ্দিন সরকার ও জাগীর ইউনিয়নে মো. জাকির হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর দুটি ইউনিয়নে অন্য ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আগামী ১২ মে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন আওয়ামী লীগের ওই দুই প্রার্থী।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

২৯ এপ্রিল বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত দীঘি ইউনিয়নে মো. মতিউর রহমান ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে হাজি মো. আদম আলীর মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে মারপিট ও আটকে রেখে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে প্রার্থীদের প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দেন ওই কর্মকাণ্ডে জড়িতরা। এসব ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিতভাবে পৃথক অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর ও ভুক্তভোগী দুই প্রার্থী। এরপর শেষদিনে আটটি ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। গড়পাড়া ও জাগীর ইউনিয়নে শুধু মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই প্রার্থী। 

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, গড়পাড়া ও জাগীর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্থগিতের চিঠি দিয়েছেন  নির্বাচন কমিশনের উপসচিব। এ কারণে ওই দুই ইউনিয়নে নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কে বা কারা কিংবা কী অভিযোগ করায় এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা চিঠিতে উল্লেখ করেনি। আগামী বৃহস্পতিবার এখানে আসবেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমার পর নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।