সৈয়দপুরে সেনা সদস্যকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক সেনা সদস্যকে মারধর ও চাঁদাবাজির মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে পাঠানো ইউপি চেয়ারম্যান হলেন সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ।

জিকো আহমেদ আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

জিকো আহমেদ ষষ্ঠ দফায় ইউপি নির্বাচনে কামারপুকুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১২ অক্টোবর সকালে কাপ্তাই সেনানিবাসের ওয়ারেন্ট অফিসার মফিজুর রহমান বদলি হয়ে সৈয়দপুর সেনানিবাস সদর দপ্তরের ২২২ পদাতিক ব্রিগেডে যোগদানের জন্য আসেন। সকালে বাস থেকে নেমে এসএ পরিবহনে পাঠানো নিজের ব্যবহৃত মালামালের পার্সেল উত্তোলনের জন্য সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ওই পার্সেল কার্যালয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পার্সেলের গাড়ি এক ঘণ্টা দেরিতে আসায় ওই সেনা সদস্য ওই সময়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদের জসিম বিল্ডিং নামের একটি রেস্ট হাউসের একটি কক্ষ ৫০ টাকায়  ভাড়া নেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ আট-দশজনের একটি দল নিয়ে সেনা সদস্যের কাছে গিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছে থাকা আট হাজার ৭০০ টাকা ছিনতাই করে নেন। মফিজুর নিজেকে সেনা সদস্য পরিচয় দিলেও রক্ষা পাননি। উল্টো তাঁকে মারপিটসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আরো ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ গিয়ে সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর তাঁকে সৈয়দপুর সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় সেনা সদস্য মফিজুর নিজে বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর : ০৯, তারিখ-১৩/১০/২০১৪।

মামলা দায়েরের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ পলাতক থাকলেও মামলার অন্য আসাসিরা জামিনে রয়েছেন।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আউয়াল ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে  আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় জিকো আহমেদ আজ জামিন নিতে এলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।