আনসার ব্যারাকে হামলাকারীরা আগে রেকি করে : ডিআইজি

Looks like you've blocked notifications!
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা ও আনসার কমান্ডার হত্যার ঘটনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। ছবি : এনটিভি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা ও আনসার কমান্ডার হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনার আগে হামলাকারীরা ক্যাম্প ও সেখান সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজখবর (রেকি) নেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম।

আজ শনিবার হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি। এ সময় তিনি আনসার ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তবে কেউ আটক হয়নি বা কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত। এ সময় আনসার কমান্ডার মোহাম্মদ আলী হোসেনকে হত্যা করা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সফিপুরে। দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায় অস্ত্র।

ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এখানে অস্ত্র নিয়ে কতজন সদস্য থাকে। কোনদিন কতজন সদস্য থাকে সেটা হামলাকারীরা জানত। সাধারণত বৃহস্পতিবার অনেকে ছুটিতে যায়। তখন সদস্যসংখ্যা কম থাকে। এটা হামলাকারীরা রেকি করেছে। যখন সর্বোচ্চ কমসংখ্যক সদস্য থাকে, তখন তারা হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ক্যাম্পের দুর্বলতা সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল। জঙ্গি, রোহিঙ্গা বা আরাকান আর্মি যে কেউ এটা করতে পারে। আমরা সব দিক তদন্ত করে দেখছি।’

জিআইজি আরো বলেন, ‘এখানে মাত্র সাতজন সদস্য ছিল। আমরা বলেছি, এত কম সংখ্যক সদস্য দিয়ে কোনো ক্যাম্প যেন পরিচালনা করা না হয়।’

এদিকে নিহত আনসার সদস্য আলী হোসেনের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল জেলার সফিপুরের নিজ বাড়িতে আনসার সদস্যদের তত্ত্বাবধানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে আসামি করে শনিবার সকালে মামলা হয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী এ কর্মকর্তা।

এর আগে শুক্রবার রাতে মোচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আনসার ব্যারাকের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলার লিখিত এজাহার দেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে এবং অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চলছে।