টঙ্গীতে জোড়া খুন : আসামির তালিকায় বিএনপি নেতা

Looks like you've blocked notifications!
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

গতকাল রোববার গভীর রাতে টঙ্গী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত শরীফের মা মোসা. ইয়ানুর বেগম।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলায়  বিএনপি নেতা কামরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

টঙ্গী মডেল থানার ডিউটি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, এরশাদনগর এলাকায় তাঁর পরিচিত ১২ জন পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলে শরীফ হোসেন ও সহযোগী জুম্মনকে কুপিয়ে হত্যা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল নিহত শরীফের। আর এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যায় জড়িত সন্দেহে সোহেল রানা, অপু ও শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল সকালে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় শরীফুল ইসলাম ও একই এলাকার জুম্মন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত শরীফুল ইসলাম স্থানীয় যুবলীগকর্মী এবং শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। জুম্মন ছিলেন শরীফের বন্ধু। জুম্মন স্থানীয় একটি টুপি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।