রংপুরে ভোট নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশের গুলি, নিহত ১
রংপুর সদরের সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, গুলিতে লোকমান হোসেন (৫৫) নামে একজন মারা গেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ভোট গ্রহণ শেষে গণনার সময় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
নিহত লোকমান বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল মতিনের সমর্থক। আবদুল মতিনের দাবি, পুলিশের গুলিতে লোকমানের সঙ্গে সবুজ (৩৫) নামে তাঁর আরেক সমর্থক মারা গেছেন। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জিলানি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের খান একরাম চৌধুরী ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনার পরিবেশ না থাকায় প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারসহ রংপুর নির্বাচন অফিসে আসার চেষ্টা করলে স্থানীয় শত শত লোক বাধা দেয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালালে লোকমান হোসেন মারা যান।’
গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল মতিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে ভোট গণনা না করে ব্যালট বাক্স জেলা শহরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা প্রতিবাদ জানায়। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে দুজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
এ ইউনিয়ন ছাড়াও আজ চন্দনপাট ও হরিদেবপুর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়।