সীমান্তে কিশোর হত্যা : বিএসএফকে তথ্য দিল বিজিবি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে কিশোর শিহাব উদ্দিন সজল হত্যায় গঠিত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের তদন্ত কমিটিকে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বুধবার দুপুরে বিজিবি-৬ এর অধীন নতুনপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার ৬৬ এর কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নতুনপাড়া আমবাগানে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে হাজির করা সাক্ষীরা বিএসএফের তদন্ত দলের কাছে সাক্ষ্য দেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিএসএফের তদন্ত কমিটির সদস্যরা। বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদ এবং ১৪৪-বিএসএফের অধিনায়ক কমান্ড্যান্ট রাতনেশ কুমার।
এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম, বিএসএফের তদন্ত দলের সদস্য স্টাফ অফিসার জাজবীর সিং।
বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে কিশোর শিহাব হত্যায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
গত শনিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের কিশোর শিহাব উদ্দিন আম পাড়তে নতুনপাড়া সীমান্তের একটি আমবাগানে যায়। শিহাব ও তার চারবন্ধু গাছে ওঠে এবং নিচে ছয়-সাতজন ছিল। বিএসএফ ধাওয়া করলে নিচে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। গাছে থাকা শিহাব ও তার বন্ধুদের বিএসএফ সদস্যরা নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং খুব কাছ থেকে শিহাবকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়।