চুয়াডাঙ্গার হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপির নির্বাচন স্থগিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ভোটের ১০ দিন আগে নির্বাচন স্থগিতাদেশ আসায় নির্বাচন আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটানিং কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. খায়রুজ্জামানের আদালত গত ১৬ মে এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে নির্বাচন তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুলনিশি জারি করেন।
হাউলী ইউনিয়নের বিভাজনের দাবিতে রিটটি দায়ের করেন দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর শেখপাড়ার মৃত খোদা বক্সের ছেলে ইউনুস আলী।
একইদিনে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের জিরাট গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওয়ার্ড বিভাজনের দাবিতে একই আদালতে রিট দাখিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওয়ার্ড বিভাজন না করে নির্বাচনের তফশিল তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টর আইনজীবী খোরশেদ আলম শহিদুল ইসলাম ও ইউনুস আলীর পক্ষে রিট দুটি দাখিল করেন।
হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ের চিঠিটি আজ দুপুর ২টার দিকে মামলার বাদী শহীদুল ইসলাম ও ইউনুস আলী হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহাকে হাউলী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।
পরবর্তী সময়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণ, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়। আগামী ২৮ মে ওই দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে এস এ এম জাকারিয়া আলম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।