পুলিশের তিন মামলা, হাজারের বেশি আসামি
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একটি হত্যা মামলা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দুটি মামলা করে। তিন মামলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার ভয়ে ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
গতকাল সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় ইউনিয়নের খান একরাম চৌধুরী ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুল মতিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের গুলিতে লোকমান হোসেন (৫৫) নামে একজন মারা যান। আবদুল মতিন দাবি করেন, লোকমান তাঁর সমর্থকদের একজন।
গভীর রাতে রংপুর জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। নির্বাচনে আবদুল মতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহেল রানাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
গতকাল রাতে ওই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সদ্যপুষ্করণীর পালিচড়া গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে থাকছেন না। শিশু ও নারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে লোকমানের ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়ায় দাফন সম্পন্ন করতে পারেনি তাঁর পরিবার। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশি পাহারায় লোকমানের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি তিনটি মামলা দায়েরের কথা জানিয়ে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। গতকালের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে হরিদেবপুর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন এবং চন্দনপাট ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিনুর রহমান জয়ী হয়েছেন।