র্যাব হেফাজতে মাস্টার বাহিনীর দস্যুরা

আত্মসমর্পণের জন্য র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮-এর হেফাজতে আছেন জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান ও তাঁর সহযোগীরা। আজ রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণের কথা ছিল তাঁদের।
কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মংলা যেতে না পারায় আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া দস্যুরা হলেন—বাহিনীপ্রধান মোস্তফা শেখ, সহযোগী সোহাগ আকন, সুমন, সলেমান, শাহিন, ফজলু ও সুলতান। এঁদের বাড়ি মংলার চাঁদপাই, মিঠাখালী ও বাগেরহাটের রামপালের কাটাখালী গ্রামে।
এর আগে র্যাব-৮-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানিয়েছিলেন, সুন্দবনের কুখ্যাত জলদস্যু মাস্টার বাহিনী প্রধানের আত্মসমর্পণ উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ আজ দুপুর ১টায় মংলা বন্দরে যাবেন। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের পর অতিথিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাস্টার বাহিনীর কাছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যে অস্ত্র তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সমর্পণ করে নিজেরাই আত্মসমর্পণ করবে। ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার হাজার গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ সাংবাদিকদের জানান, বাগেরহাটের রামপাল এলাকার এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাত ধরে প্রথমে এই পথে আসেন তিনি। পরে রাজু বাহিনীর সঙ্গে সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করেন। সুন্দরবনের একসময়ের ত্রাস রাজু বাহিনী থেকে বের হয়ে নিজেই ১০-১৫ জনের একটি বাহিনী গঠন করেন। র্যাবের তৎপরতায় ও ক্রসফায়ারে একের পর এক বনদস্যু নিহতের ঘটনায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করেন। মাস্টার বাহিনীর অন্য সদস্যরা আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে দস্যু বাহিনীর আইনের কাছে সোপর্দ করার জন্য স্থানীয় পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। আত্মসমর্পণের পর জলদস্যুরা আইন মোকাবিলা করে পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। জলদস্যুদের এই আত্মসমর্পণের জন্য র্যাবের সঙ্গে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছিলেন।