রাঙামাটিতে অবশেষে আটক মোটরসাইকেল চোরচক্র

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটি জেলা পুলিশ রোববার রাতে চোরাই পাঁচটি মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল খোলা, সংস্কার, নম্বরপ্লেট পরিবর্তনসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিপুল সরঞ্জাম আটক করে। একই সঙ্গে চোরচক্রের ১১ সদস্যকে আটক করে। আজ সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা মোটরসাইকেল, সরঞ্জাম ও আটক ব্যক্তিদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

গত কয়েক মাসে রাঙামাটি শহর থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় বিপাকে ছিল শহরবাসী। সেই সঙ্গে পুলিশও। এ নিয়ে ছিল নানা হতাশা, ক্ষোভও।

অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই মোটরসাইকেল চোর চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত কদিনের চেষ্টার পর রোববার রাতে রাঙামাটি শহর এবং চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাই পাঁচটি মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল খোলা, সংস্কার, নম্বর প্লেট পরিবর্তনসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিপুল সরঞ্জাম আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে চোরচক্রের ১১ জন সদস্যকেও আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তিরা সবাই রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজার, গর্জনতলি, কাঁঠালতলি ও কলেজগেট এলাকার বাসিন্দা।

আজ সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা মোটরসাইকেল, চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং আটক ব্যক্তিদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ।

এ সময় রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটা মোটরসাইকেলের যত কাজ আছে, খোলা থেকে শুরু করে আবার জোড়া লাগানো কিংবা নম্বর পরিবর্তন বা রং পাল্টানো সবই এদের কাছে পাওয়া গেছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্র। এদের পেছনে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লেগেছিলাম। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

রাঙামাটির  পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, ‘আমরা এই চক্রের বড় একটি অংশকেই ধরতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি বাকি যারা আছে তারাও রক্ষা পাবে না। আমরা এদের কাউকেই ছাড়ব না। আশা করছি, এবার এ শহরে মোটরসাইকেল চুরি চিরতরে বন্ধ হবে।’