চুয়াডাঙ্গায় বসন্ত রোগে ছাগলের মহামারী

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে ছাগলের বসন্ত রোগ মহামারী আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে গ্রামটিতে কমপক্ষে ৫০০ ছাগল মারা গেছে। এতে ছাগলের মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ছাগলের মহামারীর কারণে প্রাণিসম্পদ বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামে সুস্থ ছাগলগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। কর্মকর্তারা রোগাক্রান্ত ছাগলগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, বসন্ত রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবরে ছাগলের দামও কমে গেছে।
দোস্ত গ্রামের বেসরকারি পশু চিকিৎসক বাবুর রহমত জানান, গ্রামটির মসজিদ পাড়ার একজন নারী পাশের জেলা ঝিনাইদহ থেকে একটি রোগাক্রান্ত ছাগল গ্রামে নিয়ে আসেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তা দোস্ত ও আশপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামটির বেলেপাড়ার ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, তাঁর ৬০টি ছাগলের মধ্যে ৫৭টিই বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। একইভাবে স্কুলপাড়ার সাইদুর রহমানের সাতটি, জয়নাল হোসেনের চারটি , মুনির দুটি, সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেকের সাতটি ছাগলসহ কয়েকশ ছাগল মারা গেছে।
ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামের ছাগলের ব্যাপারী মো. সুজন জানান, শুধু দোস্ত গ্রাম নয়, পাশের কৃষ্ণপুর, কুন্দিপুর, কোটালী, উজ্জ্বলপুর ও চাঁদপুর গ্রামেও বসন্তে আক্রান্ত হয়ে ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে ছাগলের দাম বেশ কমে গেছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রামের মানুষকে বুঝিয়েও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয় না। অথচ, গত কয়েকদিনে বিপুল সংখ্যক ছাগল মারা গেছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবু সালেহ জানান, গ্রামটিতে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০০ ছাগল মারা গেছে।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম হায়দার বসন্ত রোগে ছাগলের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রামটিতে মেডিকেল টিম কাজ করছে।