জেলারের অবহেলায় পরীক্ষা দিতে পারেনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী

Looks like you've blocked notifications!

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠি কারাগারে জেলারের অবহেলায় শুভ রাঢ়ী নামের এক আসামি  একটি বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত জেল সুপার ও জেলারকে শোকজ করেছেন।

বিচারক মো. হুমায়ুন কবিরের নির্দেশ অনুযায়ী আজ বুধবার লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর কথা থাকলেও মামলার শুনানিকালে জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা এনডিসি আলমগীর হোসেন ও জেলার মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত হননি বলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী শুভ রাঢ়ীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তবে শুনানির পরে গিয়ে বিচারকের খাস কামরায় তাঁরা লিখিত জবাব জমা দেন বলেও জানান।

শুভর আইনজীবী মাহেব হোসেন মন্টু জানান, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামে প্রতিবেশী মোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে রিকশাচালক নূর মোহাম্মদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১০ মে মারধরের অভিযোগ এনে মোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নূর মোহাম্মদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী শুভ রাঢ়ীকেও আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১৮ মে শুভ ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এসই সঙ্গে আদালত জেল সুপার ও জেলারকে ২৪ মে কারাগারে বসেই সাচিবিক বিদ্যা পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরীক্ষার আগে ঝালকাঠি কারাগারের জেলার মো. শরীফুল ইসলাম পরীক্ষার্থী শুভর বাবার কাছে পরীক্ষার দেওয়ার আয়োজনের জন্য সাত হাজার টাকা দাবি করেন। শুভর রিকশাচালক বাবা টাকা দিতে না পারায় জেলার ২৪ মে সকালে সাচিবিক বিদ্যা পরীক্ষা দিতে দেননি।

বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষার সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে বিকেল ৩টায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজের ইংরেরি বিভাগের শিক্ষক ইলিয়াছ বেপারীর কাছে আদালতের নির্দেশ পাঠায় জেলার। কিন্তু পরীক্ষার সময় দুপুর ১টায় শেষ হয়ে যাওয়ায় শুভ আর ওই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়নি।

শুভর বাবা নূর মোহাম্মদ জানান, জেলার শরীফুল ইসলাম বিষয়টি টের পেয়ে কারাগারে বসে জোর করে শুভর কাছ থেকে লিখে নেন যে, পরীক্ষা না দিতে পারায় জেলারের কোনো অবহেলা নেই।