নানার কবরের পাশে শায়িত তামান্না
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত তামান্না রহমান হৃদিকে (২২) গাজীপুরে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর গাজীপুর শহরের কানাইয়া মাদ্রাসা মাঠে তামান্নার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কানাইয়া গ্রামে নানা ডা. আরিফ ভূঁইয়ার কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
জানাজায় তামান্নার বাবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. আনিসুর রহমান, মামা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক লিয়াকত হোসেনসহ নানার বাড়ির লোকজন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, চিকিৎসক ও স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন। এর আগে ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় তামান্নার আরেকটি জানাজা হয়। তামান্নার পরিবার সেখানেই থাকে।
তামান্না পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হন। আগামী বছর তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত বুধবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ফ্লাই একাডেমির প্রশিক্ষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাঈদ কামাল তামান্না রহমানকে প্রশিক্ষণ দিতে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান উড্ডয়ন করেন। উড্ডয়নের তিন মিনিটের মাথায় বিমানটি জরুরিভাবে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ের পাশে ছিটকে পড়ে যায়। এতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানের ভেতর আটকা পড়ে তামান্না রহমান আগুনে পুড়ে মারা যান। পাইলট সাঈদ কামালের শরীরের প্রায় ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।