নতুন ছাত্রদের ডাইনিংয়ে খেতে মানা!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের প্রথম বর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) ছাত্রদের ডাইনিংয়ের বদলে ক্যান্টিনে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্টিন পরিচালনাকারীর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হল শাখার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হলের ‘গণরুমে’ আছেন। ক্যাম্পাসে আসার দিন থেকেই আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা গণরুমে গিয়ে নতুন ছাত্রদের হল ডাইনিংয়ে না খেয়ে ক্যান্টিনে খাওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে এক সপ্তাহ ধরে গণরুমের অর্ধশত ছাত্র হলের ক্যান্টিন বা বাইরের দোকানের অপেক্ষাকৃত উচ্চমূল্যের খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে নিতান্ত অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এ ‘নিয়মের’ শিথিলতা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্র জানান, হলের ডাইনিংয়ে খেলে প্রতি বেলার জন্য ২০ টাকা খরচ হয়। ক্যান্টিনে খেলে ৩০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হয়। আর বাইরের দোকানে খেলে অন্তত ৫০ টাকা খরচ হয়।
ছাত্ররা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অনেকেই ক্যান্টিনে খাবার খেয়ে টাকা পরিশোধ করেন না। ক্যান্টিন পরিচালনাকারীর এ ‘ক্ষতি’ পুষিয়ে দিতেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্যান্টিনে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে আল-বেরুনী হলের ক্যান্টিন পরিচালনাকারী মো. কালু মিয়া বলেন, ছাত্রলীগের কেউ তাঁর ক্যান্টিনে বিনা মূল্যে খান না।
গণরুমের ছাত্রদের ক্যান্টিনে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে আল বেরুনী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার বাগচী বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।’ এ ছাড়া ক্যান্টিন-মালিকের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
আল বেরুনী হলের প্রভোস্ট ড. এ কে এম জসীম উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের মাধ্যমেই ব্যাপারটা জানতে পেরেছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি নবীন শিক্ষার্থীদের ডাইনিংয়ে খাওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হবে।’