মিন্টুর আপিল খারিজ
ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বহালে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর করা আপিল খারিজ হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানি শেষে মিন্টুর আপিল খারিজ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে আপিল শুনানি। এ সময় মিন্টুর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রায় ঘোষণার পর বাইরে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আবদুল আউয়াল মিন্টু এখান থেকে কোনো ন্যায়বিচার পান নাই, এটা সমগ্র দেশবাসীকে হতাশ করেছে।’
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিন্টুর আপিল খারিজ করা হয়েছে জানিয়ে খোকন বলেন, ‘আবদুল আউয়াল মিন্টু যদি সরকারি দলের থেকে প্রার্থী হইতেন, হয়তো এই তুচ্ছ ঘটনা সংশোধন হয়ে যেত।’
এই আদেশের বিরুদ্ধে মিন্টুর সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে যাবেন এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও জানান এ আইনজীবী।
গত ১ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া মিন্টুর হলফনামায় সমর্থক হিসেবে উল্লিখিত একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার নন এমন কারণ দেখিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরদিন ২ এপ্রিল আবদুল আউয়াল মিন্টুর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মনোনয়নপত্র বহালের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন।
এ সময় মিন্টুর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘রাজউক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে ম্যাপ আছে, সে ম্যাপ অনুযায়ী উত্তরার ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টর পর্যন্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ম্যাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ডকুমেন্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ১৩ নম্বর সেক্টরের কিছু লোক ভোটার, অনেক লোকই ভোটার না। যেটা আইন সমর্থন করে না। নির্বাচন কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার জন্য আবদুল আউয়াল মিন্টু সাহেব প্রার্থী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।’
এদিকে সকালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদের শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে ১০ জনের আবেদন খারিজ হয়েছে এবং বাকি তিনজনের আবেদন মঞ্জুর করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উত্তরে সংরক্ষিত ও সাধারণ আসন মিলে ১৫ জন আপিল করেছেন।