অফিসে নয়, বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/05/photo-1428218886.jpg)
দীর্ঘ তিন মাস পর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরলেন খালেদা জিয়া। আজ রোববার সকালে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে দুপুরে তিনি বাসায় ফেরেন।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গাড়িতে করে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস। দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসনকে বহনকারী গাড়িটি ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করে।
এর আগে খালেদা জিয়া যখন আদালতের উদ্দেশে রওনা হন, তখন তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজা ফাতিমা গৃহকর্মীকে নিয়ে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসাটির উদ্দেশে যান। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের একটি দল অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলা দুটির পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৫ মে নির্ধারণ করেন বিচারক।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে ৯২ দিন খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করেন। ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় ২০-দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় তিনি কার্যালয় থেকে আর বের হতে পারেননি। এর প্রতিবাদে ৬ জানুয়ারি থেকে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন, যা এখনো বলবৎ আছে। সে সময় থেকে তিনি কার্যালয়েই ছিলেন।
গত ১৯ জানুয়ারি ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী, ২৪ জানুয়ারি ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু হয়, ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসেন; ৩০ জানুয়ারি কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারক আবু আহমেদ জমাদার দুর্নীতির দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে এসবের মধ্যে তিনি কার্যালয় থেকে বের হননি। ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি শহীদ মিনারে যাননি, স্বাধীনতা দিবসেও তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাননি। বিএনপি নেতারা জানিয়েছিলেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, খালেদা জিয়া বাইরে বের হলেই সরকার তাঁর কার্যালয় বন্ধ করে দেবে।