কিশোরগঞ্জে ‘সংঘর্ষে’ একজন নিহত, ১৪৪ ধারা জারি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/03/photo-1422970241.jpg)
অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ‘সংঘর্ষে’ একজন নিহত হয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। এ সময় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজিতপুর বাজার ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনায় নিহত ছেনু মিয়া (৪৫) উপজেলার কৈলাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি চালকলের শ্রমিক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বাজিতপুর পৌরসভার বাঁশমহল এলাকায় কৈলাগ গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পৈলনপুর গ্রামের এক অটোরিকশা চালকের ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সাহা জানান, খবর পেয়ে তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি নিহত ও আট পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। এর মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানকে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০-৬০টি ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ১০টি শেল নিক্ষেপ ছোড়ে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান এনটিভিকে বলেন, ছেনু মিয়ার বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বাজিতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ জেড এম সারজিল হাসান জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজিতপুর বাজার, কৈলাগ, পৈলনপুর ও মথুরাপুর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।