সাতক্ষীরায় স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

Looks like you've blocked notifications!

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরায় এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের বৃদ্ধা মা ও বাবাকে পিটিয়ে আহত করে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। আজ সোমবার জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন গড়েরডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে।

কলারোয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোখলেছুর রহমান মুকুল অভিযোগ করেন, স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের সদস্য লিয়াকত হোসেন এ হামলা চালিয়েছেন।

মুকুল এনটিভি অনলাইনকে জানান, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে পাওয়া তাঁর এক শতক জমির ওপর আজ সকালে প্রতিবেশী ও ধান্দিয়া ওয়ার্ড পুলিশ কমিটির সেক্রেটারি আওয়ামী লীগ কর্মী লিয়াকত হোসেন জোর করে দেয়াল দিচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বাধা দেন। এরপরই লিয়াকতের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা করে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী। তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে মূল্যবান সম্পদ লুট করে। 

মোখলেছুর অভিযোগ করেন, এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর বাবা ইয়ার আলী, মা আফরোজা খাতুন ও নানি সফুরা বেগমকে মারধর করে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি নিজেও মারধরের শিকার হন। চিকিৎসা নিতে ঘরের বাইরে গেলেও সন্ত্রাসীরা বাধা দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেলা ১১টায় মোখলেছুরের বাড়িতে হামলার পর পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন। তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে লিয়াকতের সঙ্গে সময় কাটান বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

পরে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে মোখলেছুরের পরিবারকে উদ্ধার করেন। তিনি আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। 

এ ব্যাপারে ওসি তরিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তাঁকে (উপপরিদর্শক আবদুল মতিন) সকালে দায়িত্ব পালনের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’

বিলম্বে আসার কারণে জানতে চাইলে এসআই আবদুল মতিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার কাজ ছিল।’

এদিকে লিয়াকত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, ‘মোখলেছুর তাঁর লোকজন নিয়ে আমার ভাই শওকত ও মেয়ে খুকুমনিকে মারধর করে দেয়াল ভেঙে দিয়েছে।’ মোখলেছুরের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।