ফরমায়েশি ভূমিকায় ইসি : নজরুল
নামে স্বাধীন হলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৫ জানুয়ারির মতো ফরমায়েশি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় ‘সরকারি পদধারী গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও আনেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে নজরুল ইসলাম খান এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘নামে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান বশংবদ নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনে যেমন ফরমায়েশি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হয়েছে- এবারও তারই পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে।’
‘যেদিন আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্রে সমর্থনকারীর বিষয়ে প্রশ্ন তুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, সেই একই দিনে মনোনয়নপত্রের ছোটখাটো ভুল সংশোধনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোশনের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের কয়েক ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তেমন সুযোগ দিলে মিন্টু নির্বাচনী এলাকার লাখ লাখ সমর্থকের মধ্য থেকে একজনকে সমর্থক হিসেবে দেখাতে পারতেন।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ স্থানীয় সরকারের কোনো পদে নির্বাচনের জন্য কোনো রাজনৈতিক দল কাউকে মনোনীত করতে পারে না এবং সরকারি পদধারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসব নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। অথচ দেশবাসী অবাক লক্ষ করেছেন যে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আনিসুল হকের প্রতি তাঁর সমর্থন ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত দলীয় সভায় তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর এই পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার জন্য সামান্য ক্রটি দেখিয়ে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
বিবৃতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এসব অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।