দ্বিতীয় দফায় ত্রাণের ১০ হাজার মে. টন চাল নেপাল যাচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণসহায়তা হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল (খাদ্যশস্য) যাচ্ছে নেপালে। ২০১৫ সালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালি জনগণের জন্য বাংলাদেশ থেকে এই ত্রাণসহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা থেকে নেপালের উদ্দেশে দ্বিতীয় দফার প্রথম চালান নয়টি ট্রাকে ২৫০ মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়েছে। ট্রাকগুলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ফুলবাড়ী হয়ে নেপালের কাঁকরভিটা পর্যন্ত যাবে। সেখান থেকে নেপালি ট্রাক চাল নিয়ে যাবে। জেলার সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে চাল পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহযোগিতায় চাল পাঠানোর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল, পুলিশ সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের পরিচালক আনিসুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা সাদেক সারোয়ার, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সহকারী কমিশনার সানিউল ফেরদৌস, সুমন জিহাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দেন। নেপালি জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ওই বছরের মে মাসে প্রথম দফায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নেপালে পাঠানো হয়। অবশিষ্ট ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবার দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হচ্ছে।
এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলা থেকে সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন এবং দিনাজপুর জেলা থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স শাম্মী এজেন্সীজ লিমিটেড বরাদ্দকৃত এসব চাল নেপালে সরবরাহ করছে।