ঝিনাইদহে কনস্টেবল হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ১৭ আগস্ট
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানার কনস্টেবল ওমর ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল রোববার জেলা দায়রা জজ নবাবুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদেশের সময় আদালতে মামলার ৩৮৬ আসামির বেশির ভাগ উপস্থিত ছিলেন। পলাতক ১৫ জন।
এ ব্যাপারে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রস্তুতি না থাকায় সময়ের আবেদন করা হলে আদালত চলতি বছরের ১৭ আগস্ট পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষণার পরপরই সারা ঝিনাইদহে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সাঈদী সমর্থকরা জেলার সব রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার ও মহেশপুরের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। কোটচাঁদপুরে জামায়াত-শিবিরের লোকজন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
একই বছর ৩ মার্চ দুপুরের দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ ভবনের পেছনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুককে। সে সময় তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব পালন করার জন্য ডেকে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রমতে, এ হত্যার ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা মওলানা মোতাহার হোসেনকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। হরিণাকুণ্ডু থানার তৎকালীন এসআই মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৩৮৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমানসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আবেদন করেন। ঝিনাইদহের বিচারক নবাবুর রহমান সব আবেদন নাকচ করেন।