পরিবহন শ্রমিককে মারধর, পঞ্চগড়ে ৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
পঞ্চগড়ে পরিবহন শ্রমিককে মারপিট করার প্রতিবাদে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক ৭ ঘণ্টা অবরোধ করেছে পঞ্চগড় জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের জজকোর্টের সামনে শত শত শ্রমিক সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। শ্রমিকরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় শ্রমিক ও আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে। সমিতির ভবনের বাইরে থাকা আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী মানুষের অর্ধশত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ছবি তুলতে গেলে শ্রমিকরা কয়েকজন সাংবাদিককে মারপিট ও লাঞ্ছিত করে।
বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন ও শ্রমিক নেতারা বসে আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে। অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কার, মোটরসাইকেলসহ শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। বিশেষ করে ঈদের বাজার হওয়ায় কেনাকাটা করতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়ে।
পুলিশ, আইনজীবী ও শ্রমিক নেতারা জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঙ্গে আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি তিনি জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে অবহিত করলে জজকোর্টের পিপি আমিনুর রহমান ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আইনজীবীরা আদালত চত্বরের সামনে তেঁতুলিয়াগামী একটি বাসের চালক ও হেলপারকে মারপিট করে।
খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জজকোর্টের চারদিকে অবস্থান নিয়ে আইনজীবীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কয়েক দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ছবি তোলার সময় শ্রমিকরা ৭১ টিভির পঞ্চগড় প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলামকে মারপিট এবং দৈনিক প্রথম আলোর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম শহীদকে লাঞ্ছিত করে। শ্রমিকরা তাদের আটক করে ল্যাপটপ ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শ্রমিক নেতারা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ জানান, আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।