শেরপুরের পথে কামারুজ্জামানের লাশ

Looks like you've blocked notifications!
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। আজ শনিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বের হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। এরপর নেওয়া হয় শেরপুরে গ্রামের বাড়ির পথে। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শেরপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে।

আজ শনিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কামারুজ্জামানের লাশ বের করা হয়। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সাথে রয়েছে অতিরিক্ত আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স। 

অ্যাম্বুলেন্স দুটির নিরাপত্তার জন্য সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (র‍্যাব ও পুলিশ) ১০টি গাড়ি রয়েছে। 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা সুপার ফরমান আলী রাত পৌনে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগে। এরপর কামারুজ্জামানের লাশ ডেপুটি জেল সুপার লাভলুর তত্ত্বাবধানে পুলিশি পাহারায় শেরপুরের উদ্দেশে পাঠানো হয়। ডেপুটি জেল সুপার সেখানে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবেন।

ফরমান আলী আরো জানান, রাত সোয়া ১০টায় কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চের কাছে নেওয়া হয়। এ সময় ১২ জন সশস্ত্র কারারক্ষী, ইমাম, ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জেল সুপার ও জেলার উপস্থিত ছিলেন। রাত ১০টা ২৫ মিনিটে কামারুজ্জামানকে জল্লাদ রাজুর কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

এর আগে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। 

আজ দুপুরে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওনার (কামারুজ্জামানের) শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী শেরপুরে ওনার প্রতিষ্ঠিত কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানার পাশেই তাঁকে কবর দেওয়া হবে।’ 

শেরপুর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী কামারুজ্জামানের দাফনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।