জয়পুরহাটে পুলিশের গুলিতে দুজন আহত

Looks like you've blocked notifications!

জয়পুরহাট সদর উপজেলার মিটনা-পাটেরপুকুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন নজরুল ইসলাম (২৯) ও আহসান হাবিব (২৩)। তাঁরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেছে পুলিশ।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শাহ আলমকে সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মীরগ্রাম বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। শাহ আলম ২০১৩ সালে পাঁচবিবি থানায় সশস্ত্র হামলাসহ একাধিক নাশকতা মামলার আসামি। তাঁকে আটকের পর জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তাদের চৌমুহনী বাজারে বিএনপি সমর্থক কিছু লোক গাড়িতে উঠিয়ে হাসপাতালে নিতে সাহায্য করে।

মোল্যা নজরুল বলেন, পুলিশকে সাহায্য করায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের তিন শতাধিক নেতাকর্মী দলবদ্ধভাবে পাটের পুকুর গ্রামে গিয়ে জড়ো হয়। তারা পুলিশকে সহায়তাকারী বিএনপি সমথর্কদের দোকানসহ ছয়টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তিন নারীসহ ছয়জন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এর পর পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতায় জড়িত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ধরতে কাল বিকেল ৪টার দিকে অভিযান চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা আবার সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি ছুড়লে নজরুল ইসলাম ও আহসান হাবিব গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে নজরুল ইসলাম জামায়াত ও আহসান হাবিব শিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুজনকে আটক করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।