সাতক্ষীরায় পূজারীকে হত্যার হুমকি

Looks like you've blocked notifications!

‘পূজা করলে তোদেরকে কুপিয়ে মারা হবে’- এ ধরনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে।

গতকাল শনিবার সকালে হাতে লেখা চিঠিটি তালা উপজেলার খলিসখালী ইউনিয়নের হাজরাপাড়া কালীমন্দিরে পৌঁছায়। চিঠিটি মন্দিরের পুরোহিত তপন চ্যাটার্জিকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছে। পুরোহিত ছাড়াও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহন চ্যাটার্জি ও সোমনাথ লাহিড়ীর নামে। 

চিঠিটি পাঠানো হয়েছে তথাকথিত ইসলামী স্টেট (আইএস) এবং জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নামে। 

এ চিঠির খবরে খলিসখালী এলাকায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুরোহিত তপন চ্যাটার্জির ছেলে মিঠুন চ্যাটার্জি পাটকেলঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের আলী মন্দির এলাকা পরিদর্শন করেন। আজ রোববার তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা সন্ত্রাসীদের হুমকি। এই হুমকিদাতাদের চিহ্ণিত করে তাদের আইনে সোপর্দ করা হবে।’ 

খলিসখালীর ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান জানান, তিনি তাঁর পরিষদের সব সদস্যকে নিয়ে জনগণের ভীতি ও হতাশা দূর করতে কাজ করছেন। তিনি হিন্দুদের পাশে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্ণিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।   

মন্দিরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘আজ আমরা ইসলাম রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছি। আজ সারা বিশ্বে ইসলাম ধুলোয় মিশে  যাচ্ছে। এর সাথে মিশে আছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবং বিদেশি এবং এ দেশীয় দোসররা। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু পূজা অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। বন্ধ না করলে কুপিয়ে হত্যা করা হবে। তাই সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার খলিসখালীতে কোনো পূজা অনুষ্ঠান চলবে না।

হাজরাপাড়া মন্দিরে নিত্য পূজা হবে না এবং তপন চ্যাটার্জি, মোহন চ্যাটার্জি ও সোমনাথ লাহিড়ী যদি কোনো পূজা করে তাহলে তোদের কুপিয়ে মারা হবে। আমরা সাতক্ষীরাতে সর্বপ্রথম ইসলামী পতাকা তুলবই।’

চিঠির নিচে লেখা রয়েছে, জেএমবি (আইএস)।