পাল্টাপাল্টি মারধরের অভিযোগ ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ছাত্রলীগের

সুনামগঞ্জে ট্রাফিক সার্জেন্টের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর এবং তাঁকে মারধরের চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগকর্মীরা বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
এদিকে, ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, তাঁদের এক নেতাকে মারধর করা হয়েছে।
ট্রাফিক সার্জেন্ট সালাউদ্দিন কাজল জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলে রাব্বীর ১৫-২০ নেতাকর্মী তাঁর কার্যালয়ে আসেন। ফজলে রাব্বি তাঁর কাছে বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন, এ সময় কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে কাজ করবে। ট্রাফিক চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল ধরা যাবে না বলেও দাবি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি। এ নিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তর্কাতর্কি হয়।
সালাউদ্দিন অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে লাঞ্ছিত এবং কম্পিউটারের মনিটর ও একটি পানির গ্লাস ভাঙচুর করেন।
তবে ফজলে রাব্বী বলেছেন, ‘কাউকে মারধরের চেষ্টা হয়নি। আমাদের এক নেতাকে ট্রাফিক সার্জেন্ট মারধর করেছেন।’ তিনি জানান, ছাত্রলীগের এক নেতার মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে গেলে তিনি সেই নেতাকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট সালাউদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।